মহুয়া রায়চৌধুরী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মহুয়া রায়চৌধুরী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মহুয়া রায়চৌধুরী এখনও অমল পালেকারের মনের কোণে বিরাজমান

 




মহুয়া রায়চৌধুরী অমল পালেকারের সাথে দুটি ছবিতে কাজ করেছিলেন, কলঙ্কিনী এবং আদমি ঔর আউরত। 

কলঙ্কিনী ছবিতে মমতা শঙ্করের বিপরীতে ছিলেন অমল পালেকর এবং মহুয়া ও দীপঙ্কর দে জুটি বেঁধেছিলেন। মহুয়ার ভূমিকা তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল। আদমি ঔর আউরত ছবিতে মহুয়া এবং অমল পালেকার প্রধান চরিত্রে ছিলেন এবং মহুয়া এই ছবিতে তার ভূমিকার জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছিলেন। 


অমল পালেকারের এখনও মহুয়াকে মনে রেখেছেন এবং আনন্দবাজারে একটি সাক্ষাত্কারে অভিনেতা বলেছেন: 


'তিরিশ বছর কেটে গেছে। শূন্যতাটা কিন্তু ভরাট হবার নয়। হলও না। আদমি ঔর আউরত ছোট টেলিফিল্মে অল্প জন আর্টিস্ট। আমি, কল্যাণ (চট্টোপাধ্যায়), মহুয়া...। বিহার-বাংলার বর্ডারে লোকেশন। ছোট্ট ইউনিট উঠেছিল মাইথনে ডিভিসির গেস্টহাউসে। গাড়িতে লম্বা সফরে তিনজন। আমি, তপন সিংহ আর মহুয়া। সারা রাস্তা স্বভাব-চঞ্চল মহুয়া শান্ত বাধ্য মেয়ের মতো চুপচাপ গাড়ির জানলায় থুতনি ঠেকিয়ে বসেছিল।

কী ভাবছিল সারাটা পথ, কে জানে!

এর আগে ওর সঙ্গে আলাপ ছিল না। ছবিটা করার জন্য একটা সখ্য, বোঝাপড়া বড্ড জরুরি ছিল। সেটা তপনদাই গড়ে দিলেন। আমাদের মহুয়া চমৎকার অভিনেত্রী, এইটুকু কথাই যথেষ্ট ওর জন্য।

শুরু হল শ্যুটিং। দিনেরবেলা রুখু লাল মাটি, উঁচুনিচু টিলা, বয়ে চলা নদী ঠেঙিয়ে কাজ করতে হত। ফিরে এসে স্নান করে খোলা বারান্দায় যে যার ড্রিংক নিয়ে সন্ধে শুরু করতাম। দিনগুলোর পিঠে যেন পাখনা লাগানো ছিল।

আমরা একটা গ্যাং ছিলাম। রিয়েল আড্ডা হত। দুষ্টুমি করতে তো গ্যাং লাগে, জোট বাঁধতে হয়। ঠিক তেমনই একটা গ্যাং!

শেষ দিন নিজে হাতে রান্না করেছিল মহুয়া। বাঙালি রান্না। মাছ আর মাছ। খাবার ব্যাপারে আমি মনেপ্রাণে বাঙালি। এই প্রসঙ্গে বলি, আমি বাংলা পড়তে পারি। লিখতেও পারি। তাই বাঙালির সঙ্গে কোথায় একটা আমার আত্মিক যোগ পাই।

তাই সম্পূর্ণ একটা বাঙালি পরিবেশে কাজ করতে গিয়েও সে বার বেশ ভাল লেগেছিল।

কিছুতেই ভোলার নয় সেই সব দিনগুলো। ডাবিং শেষ করে চলে আসার দিন মহুয়া দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিল আমায়। দুচোখ টলটল করছিল জলে। এর পরআদমি ঔর আউরত’-এর মতোই আবার আমরা যে যার পথে!

কিন্তু কোনও দিনই ভুলতে পারিনি ওর আলিঙ্গন। ওর উষ্ণতা। ভুলতে পারব না ওর জলে ভরা চোখ দুটো।

দুঃসংবাদটা তপন সিংহই ফোনে জানিয়েছিলেন। তারপর প্রথম যখন কলকাতায় এলাম, ব্যস্ত শহরটা বড় ফাঁকা ঠেকেছিল।

আজও কলকাতা এলে সেই মন খারাপ আমার পিছু ছাড়়ে না। কলকাতা থেকে মহুয়াকে আমি এত দিনেও পুরোপুরি আলাদা করতে পারিনি।


' আনন্দলোক ' - এ ( ২৭ শে জুলাই , ২০০৬ ) অমল পালেকরের মহুয়া রায়চৌধুরীর অকালে চলে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ।



মহুয়া রায়চৌধুরীকে নিয়ে কি বললেন অভিনেত্রী ইরানী মুখোপাধ্যায়

 ইরানী মুখোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী। ইরানী মহুয়া রায়চৌধুরীর সাথে দুটি ছবিতে কাজ করেছিলেন এবং এখনও তিনি তার মহুয়া দিকে মনে রেখেছেন

ইরানী মুখোপাধ্যায়, মহুয়া রায়চৌধুরীর জীবনের শেষ ছবি ' আশীর্বাদ ' - ওনার একান্ত বান্ধবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ইরানী ছবিতে মহুয়ার সদাসঙ্গিনী ওই বান্ধবী ছিলেন



ইরানী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য: 'মৌ দিদি এক কথায় আমার গার্জেন ছিলেন। এতো আদর, এতো শাসন, এতো কেয়ারিং - ভাষায় বোঝাতে পারবো না । আজ যদি উনি থাকতেন আমাদের মাঝে তাহলে বোধহয় ওঁর নামের পরেই আমার নামটা থাকতো। আমি বড়োই অভাগী বেশীদিন সঙ্গ পেলাম না। 'সন্ধ্যাপ্রদীপ ' ছবিতেও আমরা ছিলাম । আসলে কি জানেন, তখন যে রোলটা আমার ভালো লাগতো প্রয়োজক পরিচালক ওটাই দিতেন। এখনের মতো নয়, বাধাঁগতে ফেলে দিতেন না। আর এসব দিদির থেকেই শেখা। আমি খুবই ছোট ছিলাম এবং নতুনও। ঈশ্বর আমাকে দিয়েছেন প্রচুর, কিন্তু প্রিয় দিদিকে আমার থেকে কেড়ে নিলেন ! প্রচুর ভালো বড় মানুষদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, সম্মানও পেয়েছি। তবুও কিছু স্মৃতি মনের ভেতরে আলাদা জায়গা করে নেয়। এই হলো " মহুয়া রায় চৌধুরী " যাঁকে সামান্য কথায় শেষ করে ফেলা যায় না । আবার আপনাদের ধন্যবাদ।'

কমল বন্দোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ থেকে মহুয়া রায়চৌধুরী সম্পর্কে

 কমল বন্দোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ থেকে:- গতকাল ঠিক যেখানে শেষ করেছিলাম , ঠিক সেখান থেকেই শুরু করি । যে সময়ের কথা বলছি অর্থাৎ ...