আনন্দবাজার প্রতিবেদককে সন্তু মুখোপাধ্যায় বলেন — ‘স্টুডিয়োর কুকুরগুলো পর্যন্ত ছিল ওর ভক্ত। একবার ঢুকতে দেখলেই হল— সার বেঁধে পেছন পেছন ফ্লোর পর্যন্ত চলে আসত। কী যে হই চই করে জমিয়ে রাখত কী বলব!’
‘দাদু নাতি হাতি’ বলে একটা ছবি করেছিল। স্বভাবতই একটি হাতি ছিল তাতে। প্রতিদিন নিয়ম করে এক ছড়া কলা নিজে হাতে তাকে খাওয়াত।
সন্তু বলছিলেন, ‘ওর সঙ্গে শট দিতে গিয়ে সময়-সময়, সত্যি বলছি, কেমন যেন, অস্তিত্বের সংকট হতো। ওকে শুধু অভিনেত্রী বললে কম বলা হয়। ও ছিল জাত শিল্পী।’
শুধু পশুপাখি বলে নয়, নির্বিচারে সবার জন্য ভালবাসার অনন্ত এক জমি যেন মনের মধ্যে বয়ে বেড়াতেন মহুয়া!
এই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি কোণে তো আলো পৌঁছয় না। মহুয়ার ডান হাতটা যেন সব সময় বাড়ানোই থাকত ওই আলো না-পৌঁছনো কোণগুলোর আনাচেকানাচে। সেখানে জড়োসড়ো হয়ে কোনও ক্রমে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর জন্য।